ইব্রাহীম নাচোলঃ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে ২৯ বছর পর মামলার রায় পেয়ে উচ্ছেদ অভিযান কার্যকর করেছে নাচোল থানা পুলিশের সহযোগিতায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জজ আদালতের কমিশন এ্যাডভোকেট প্যানেল জেলা জজ আদালতের কর্মচারীবৃন্দ।
আজ (০৪মে) রবিবার ওই জমিতে অবৈধ বসবাসকারীদের স্থাপনা উচ্ছেদের মধ্যদিয়ে আদালতের রায় কার্যকর করা হয়। মূল মামলার বাদী মৃত ফুলমোহাম্মদ আনসারী।
তিনি ৪২/১৯৯৭অঃ প্রঃ মোকদ্দমা দায়ের করেন। তিনি তার নামীয় নাচোল মৌজার হাল ৯৬৮ ও ৯৬৬ দাগে হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েকজন লোককে বসবাস করতে দেন।
সেই সুযোগে তারা জাল কাগজপত্র তৈরী করে ওই সম্পত্তি দখল করে ও মিথ্যা মামলা দিয়ে মূল মালিককে হয়রানী করতে থাকে। জমির মালিকের মৃত্যান্তে তার ছেলে হাফিজুর রহমান ও আফাজ উদ্দীন দিং সর্বশেষ মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের আপিলেট ডিভিশনের মাননীয় বিচারপতি এ.কে.এম. আসাদুজ্জামান গত ০৩/০৩/২০২৪ ইং তারিখে বাদীপক্ষের অনুকূলে রায় প্রদান করেন। সেই সাথে বিবাদী আদরী বালা ওরফে আদরী খাতুন দিং এর অবৈধ স্থাপনা (ঘর-বাড়ি) উচ্ছেদ ও ৫’টি বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জজ আদালতের এ্যাডভোকেট কমিশন ও আদালতের কর্মচারীদের সমন্বয়ে থানাপুলিশের সহযোগিতায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার নির্দেশ প্রদান করেন।
এ বিষয়ে মূল আবেদনকারীর নাতি জাহাঙ্গীর আলম জানান, তার দাদা মৃত ফুল মোহাম্মদ আনসারীর ১৯৯৭ সালে দায়েরকৃত মামলার ২৯ বছর পর সুপ্রীমকোর্টের রায় কার্যকর হয়েছে।
এ জন্য বিচার বিভাগের প্রতি শ্রদ্ধা, সেই সাথে এ্যাডভোকেট কমিশন ও নাচোল থানাপুলিশকে ধন্যবাদ জানান। বিবাদী আদরী খাতুন উচ্ছেদের নোটিশ পায়নি এবং তাদের আসবাবপত্র সরাতে সময় না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে নাচোল থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুল ইসলাম জানান মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ কার্যকর করতে থানা পুলিশ সহযোগিতা করেন।
Leave a Reply