1. domain.namebd2020@gmail.com : admi2017 :
মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৫০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাদকবিরোধী সচেতনতা সৃষ্টিতে প্রশিক্ষণ কর্মশালা শিবগঞ্জে কিশোর-কিশোরী স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয় কমিটির সভা চাঁপাইনবাবগঞ্জে জোড়া খুনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ-সমবেশ মানববন্ধন চাঁপাইনবাবগঞ্জে আন্তজার্তিক অভিবাসী ও জাতীয় প্রবাসী দিবস পালিত আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস: অভিবাসীদের যথাযথ সম্মান প্রদানের আহ্বান চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে ‘আশা’র ফ্রি-মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জে জামায়াতের মহান বিজয় দিবস উদযাপন চাঁপাইনবাবগঞ্জে আ.লীগের পৌর সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান গ্রেফতার চাঁপাইনবাবগঞ্জে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে ইইডি’র বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন  চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত

প্রধান শিক্ষককে উপজেলা প্রকৌশলীর চিঠি নিয়ে তোলপাড়

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার পাঠানপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মারুফুল হককে দেয়া একটি চিঠি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে সব মহলে। চিঠিটি দিয়েছেন সদর উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মোসা. নুরনাহার। চিঠির বিষয়ে ‘কক্ষ নির্মাণে দ্রুত জায়গা বুঝিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে’ বলা হলেও একে অনেকেই ‘শোকজ’ হিসেবে দেখছেন। তারা বলছেন, চিঠির ভাষা অনুযায়ী একে ‘শোকজ’ ছাড়া অন্য কিছু বলার সুযোগ নেই।
তবে অনুলিপিতে উল্লেখ থাকা ৭ জনের মধ্যে ৫ জনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কেউই এই চিঠি পাননি বলে নিশ্চিত করেছেন।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি এলজিইডি উপজেলা প্রকৌশলী মোসা. নুরনাহার স্বাক্ষরিত ৪৬.০২.৭০৬৬.০০০.৯৯.০০১.২৩-২৪ স্মারক নম্বরের চিঠিটির জবাব প্রধান শিক্ষক ২৮ ফেব্রুয়ারি দিয়েছেন।
পাঠানপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মারুফুল হক বলেন, প্রধান শিক্ষকের কক্ষ নির্মাণ সংক্রান্ত কোন নকশা বা নির্দেশনা সম্বলিত কোন লিখিত পত্র আমাকে সরবরাহ করা হয়নি। যা দ্বারা আমি জানতে পারি যে কোথায় কিভাবে নির্মিত হবে। ঠিকাদার সাহেবের নিকট থেকে মৌখিকভাবে জানতে পারি যে, কক্ষ নির্মাণের পূর্বে চিলেকোঠার ছাদ এবং দেয়াল ভাঙতে হবে। শ্রেণি কার্যক্রম চলমান থাকা অবস্থায় ভাঙার কাজ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ঝুঁকির সৃষ্টি করে। নিরাপত্তা বিষয় চিন্তা করে তাঁকে ছুটিকালীন সময়ে অথবা চিলেকোঠায় মাচান করে কাজ করার অনুরোধ জানানো হয়। উপজেলা শিক্ষা অফিসার পরিমল কুমার কুণ্ডর মাধ্যমে এবং সরাসরি আপনার দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সম্মানিত উপসহকারী প্রকৌশলী আকতারুলজ্জামান কে টেলিফোনে ঠিকাদার সাহেবকে কাজ শুরু করতে অনুরোধ জানাই এবং তারা ঠিকাদার সাহেবকে বিষযটি জানিযছেন বলে আমাকে নিশ্চিত করেন। ঠিকাদার সাহেবের বিভিন্ন কথাবার্তা যেমন ছোট কাজ, ভাঙ্গাভাঙ্গি করা ঝামেলা, এ ধরনের কাজ করতে ভালো লাগে না, তাঁর কাজের প্রতি অনাগ্রহের বহিঃপ্রকাশ। ভবন নির্মাণে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার দপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী /কার্য সহকারী আমার সহযোগিতামূলক কার্যক্রম এবং ইতিবাচক মানসিকতা সম্পর্কে সম্যক অবহিত। আমি সরকারের উন্নয়নকে তরান্বিত করার এবং সহযোগিতা প্রদানের ক্ষেত্রে একজন একনিষ্ঠ কর্মী। সুতরাং আমি সরকারি কাজে বাধা দিতে পারি ধারনাটি সঠিক নয় তবে তিনি দাবি করেন।
নাম গোপন রাখার সত্বে কয়েকজন শিক্ষক জানান, একজন উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী এমন ভাষায় একজন প্রধান শিক্ষককে চিঠি দিতে পারেন না।
প্রধান শিক্ষককে এই ধরনের চিঠি ইস্যুর আগে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অবহিত করা হয়েছিল কিনা তা জানতে সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার নূর-উন-নাহার রুবিনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি জানান, চিঠি ইস্যুর আগে আমাকে এই বিষয়ে কোনো ধরনের তথ্য অবহিত করা হয়নি। তাছাড়া চিঠি ইস্যু হয়েছিল কিনা তাও জানতাম না। আপনার (প্রতিবেদক) মাধ্যমেই প্রথম চিঠির বিষয়টি জানতে পারলাম।
বিষয়টি নিয়ে কথা হয় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জেছের আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, এভাবে চিঠি না দিয়ে অন্যভাবেও দেয়া যেত। এছাড়া উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করেও দিতে পারত।
এদিকে উপজেলা প্রকৌশলী স্বাক্ষরিত চিঠির অনুলিপিতে জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর কথা উল্লেখ থাকলেও নির্বাহী প্রকৌশলী মোজাহার আলী প্রাং বৃহস্পতিবার মুঠোফোনে এই প্রতিবেদককে জানান, পাঠানপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকৌশলী আমার সঙ্গে কোনো আলোচনা করেননি। এছাড়া অফিসিয়ালি তিনি এখন পর্যন্ত এই চিঠি পাননি বলেও জানান।
অনুলিপিতে উল্লেখ থাকলেও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান তসিকুল ইসলাম তসিও এই চিঠি পাননি বলে জানিয়েছেন।
তবে চিঠির বিষয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. তাছমিনা খাতুন। পরামর্শ তো দূরের কথা তিনিও চিঠি পাননি বলে জানিয়েছেন। এই ধরনের চিঠি উপজেলা প্রকৌশলী করতে পারেন কিনা, এ বিষয়ে তাছমিনা খাতুন বলেন, এই ধরনের চিঠি তিনি করতে পারেন না। আর চিঠির ভাষা শোকজের মতোই বলে জানান তিনি।
শুধু চিঠি নয়, উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মোসা. নুরনাহারের আরো কিছু কর্মকাণ্ডে বিরক্ত অনেকেই। উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে তার চেয়ে উদ্ধতন কর্তৃপক্ষ বা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা চেয়ারম্যানদের সাথে পরামর্শ ছাড়াই একাই সিধান্ত  গ্রহণ করেন। এমনকি প্রধান শিক্ষককে শোকজের ভাষায় চিঠি দেওয়ার ব্যাপারে তার এখতিয়ার আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদকের সহিত ও রাগান্বিতভাষায় বলেন তিনি প্রধান শিক্ষক এ চিঠি দিতে পারেন। কাজ বুঝিয়ে নেওয়ার জন্য তিনি এ চিঠি দিয়েছেন।
Oblique IT

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

© All rights reserved © 2023 Vorer Chapai

Theme Customized By BreakingNews