মনিরুল ইসলাম নাচোল প্রতিনিধিঃ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে সরকারী খাস পুকরের লীজ বাতিলের দাবীতে মানববন্ধন করেছেন নাচোল উপজেলার বরেন্দা গ্রামের ভুক্তভূগী নারী-পুরুষরা।
আজ (৩০জুন) সোমবার বেলা ১১টার দিকে নাচোল বাসস্ট্যান্ড মোড়ে গ্রামের হিন্দু-মুসলিম জনসাধারণের আয়োজনে প্রায় ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন আলহাজ্ব আতাউর রহমান মাষ্টার, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির নেত্রী বিচিত্রা তীর্কি, পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক সুভাষ চন্দ্র হেমরোম, জাতীয় যুব সংহতির সদস্য সহিদুল ইসলাম, বরেন্দা গ্রামের নূরনবী মাষ্টার ও বরেন্দা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিঃ’র সদস্য তাজউদ্দীন ফটিক।
বক্তরা বলেন, বরেন্দা মৌজার ১নং খাস খতিয়ানভূক্ত ২৫৪ নং দাগের প্রায় ৩০ বিঘা আয়তনের দিঘিটি নাচোল উপজেলার নেজামপুর ইউপির বরেন্দা গ্রামের ঐতিহ্যবাহী “সুতিহার দিঘি”টি মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির অনুকুলে লীজ নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বরেন্দা গ্রামের মুসলিম সম্প্রদায়ের মসজিদ, গোরস্থান ও ঈদগাহের উন্নয়ন এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির, স্মশান এর উন্নয়ন এবং বিবাহ ও মৃত্যুতে ওই পুকুরে মাছ চাষ করে, যৌথ ভাবে বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে ব্যবহার করে আসছিল।
উপজেলা জলমহল ব্যবস্থাপনা কমিটি সম্প্রতি বাংলা ১৪৩২সনের জন্য তিন বছর মেয়াদে পুকুর লীজের আবেদন আহ্বান করলে ওই গ্রামের অর্থাৎ বরেন্দা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিঃ ও প্রায় ২২ কিলোমিটার দুরের ভবানীপুর পাহাড়পুর মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিঃ লীজে অংশগ্রহণ করেন।
গ্রামবাসীর অভিযোগ, ঐ দিঘিপাড়ের বরেন্দা গ্রামের সমিতির অনুকুলে লীজ না দিয়ে লীজের নীতিমালা উপেক্ষা করে নাচোলের পুকুর সিন্ডিকেটের হোতা আওয়ামী প্যানেলের সাবেক কাউন্সিলর আকবর আলীর প্রায় ২২ কিলোমিটার দুরের ভবানীপুর পাহাড়পুর মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিঃ এর অনুকুলে লীজ প্রদান করেন। লীজ নীতিমিলিা উপেক্ষা করে উপজেলা জলমহল ব্যবস্থাপনা কমিটি দুরের সমিতিকে লীজ প্রদান করার বিরুদ্ধে বরেন্দা গ্রামের প্রায় ৫শতাধীক হিন্দু-মুসলিম নারী-পুরুষ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন। এ বিষয়ে নাচোল উপজেলা জলমহল ব্যবস্তাপনা কমিটির সভাপতি ও উপজেরা নির্বাহী অফিসার নীলুফা সরকার বলেন, লীজ সংক্রান্ত বিষয়ে জেলা প্রশাসক মহোদয় আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সরেজমিনে এসে দিঘি টি পরিদর্শন করেছেন এবং বিভাগীয় পর্যায়ে আইনের মাধ্যমে লীজ বাতিলের আবেদন করতে বলেন গ্রামবাসীকে।
মানববন্ধন শেষে ভুক্তভোগীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ইউএনও’র কার্যালয়ে সামনে প্রায় আধঘন্টা বিক্ষোভ করেন। পরে জেলা প্রশাসক বরাবর ইউএনও’র কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
Leave a Reply