দক্ষিণ এশিয়ার চির প্রতিদ্বন্দী বাংলাদেশ ও ভারতের বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টগুলোতে নকআউট পর্বে একের অধিকবার দেখা হয়েছে। ২০২০ সালের যুব ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনাল বাদ দিলে বাকি সময়গুলোতে বাংলাদেশের জন্য শেষটা হয়েছে হতাশারই। এবার আর কোনো আক্ষেপের গল্প নয়। দুবাইয়ের মাটিতে ভারত ‘জুজু’ কাটাল বাংলাদেশের যুবা টাইগাররা।
পেসার মারুফ মৃধার জাদুকারী বোলিংয়ের পর আরিফুলের ৯০ বলে ৯৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে ভর করেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপেক্ষে ৪ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে লাল-সবুজের দল। সেই সাথে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে অপরাজিত থেকেই ফাইনালে পৌঁছে গেল টাইগাররা। রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ প্রথম সেমিফাইনালের পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের যে কোনো একটি দল।
দুবাইয়ের আইসিসি ক্রিকেট ওভালে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে টাইগার পেসার মারুফ মৃধার বোলিং তাণ্ডবে ৪২ ওভার ৪ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৮৮ রানেই থেমেছিল ভারতীয় শিবীর। ভারতীয় দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬২ রান করেছেন আভিষেক। আর বাংলাদেশের হয়ে ৪১ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন পেসার মারুফ মৃধা।
সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশের যুবারাও। ফর্মরে তুঙ্গে থাকা আশিকুর ও শিবলি দুর্ভাগ্যজনক রানআউটের হন। আর সেখান থেকে দলকে টেনে তুলতে হতো কাউকে। সেই কাজটাই দক্ষতার সাথে করেন মূলত আরিফুল ইসলাম। আহরার আমিনকে সাথে নিয়ে মহামূল্যবান ৮৫ রানের অনবদ্য জুটি গড়েন।
তবে আরিফুল নিজেও ছিলেন সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে। বাউন্ডারি খেলতে গিয়ে ৯৪ রানের মাথায় কাটা পড়েন শেষপর্যন্ত দারুন ছন্দে থাকা ব্যাটার। তবে ৬ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করলেও দলকে জয়ের নাগালে রেখেই ফিরেছেন আরিফুল। টাইগার এই ব্যাটারের বিদায়ের পর পরই দ্রুত বেশ কয়েকটি উইকেটের পতন হয় বাংলাদেশ দলের। যদিও ততক্ষণে জয়টা শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা ছিল।
Leave a Reply